আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ধনীদের শহরে নেই পর্যটন হোটেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের শীর্ষ ধনী জেলার তালিকায় নারায়ণগঞ্জ এক নম্বরে। এ জেলায় প্রতি ১০০ জনে গড়ে ২ দশমিক ৬ জন মানুষ গরিব। বাকিরা সবাই দারিদ্র্যসীমার ওপরে বাস করেন। শিল্প-বানিজ্য আমদানি রপ্তানিসহ নানা কাজে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের আগমন ঘটে এই শহরে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে দেশী-বিদেশী নাগরিকরা কাজ করেন সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। তবে সন্ধ্যা নামলেই তাদের ফিরে যেতে হয় শহর ছেড়ে। দেশী-বিদেশী পর্যটদের অভিযোগ ধনীদের শহরে নেই পর্যটন হোটেল। খাবারের জন্য ছোট বড় অনেক রেস্তোরা, ফাস্টফুট থাকলেই নেই মানসম্মত থাকার ব্যবস্থা। এতে করে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে পর্যটদের।

জানা গেছে, শহরের দিগুবাজার, মিনা বাজার, সাইনবোর্ড এলাকায় যে সব হোটেল আছে সেখানে রাত্রী যাপন করার মানসম্মত ব্যবস্থা নেই। নানা ধরনের বহিরাগতদের প্রবেশসহ নিরাপত্তা জনীত সমস্যায় রয়েছে। তাই এসব হোটেলে পর্যটকরা যায় না। বাধ্য হয়ে তাদের ফিরে যেতে হয় রাজধানীর কোন হোটেলে। নারায়ণগঞ্জে আসা পর্যটকদের দাবি ব্যস্ততম শহরে পর্যটন হোটেল প্রয়োজন। জেলার শিল্পে যদি আমদানি বাড়াতে হয় তাহলে দেশী-বিদেশী পর্যটদের আগমন বাড়তে হবে। তাই তাদের আবাসনের জন্য মানসম্মত থাকার ব্যবস্থা করা জরুরি বলে জানান তারা। এছাড়া সরকারি ভাবে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে জেলা পরিষদের ডাক-বাংলো। তবে বেসরকারি সংস্থার পর্যটকদের জন্য এখানে থাকা মুসকিল বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ খানার আয় ও ব্যয় নির্ধারণ জরিপ ২০১৬-তে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সাম্প্রতি এই প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রথমবারের মতো জেলা ওয়ারি ধনী-দরিদ্র্য পরিস্থিতি চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয় জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো আছেন নারায়ণগঞ্জের মানুষ। ধনী ব্যক্তি আছে অন্য জেলা থেকে অনেক বেশী। তবে নারায়ণগঞ্জে আসা পর্যটকদের আবাসনের জন্য তারা কোন মানসম্মত ব্যবস্থা করেননি বলে জানা গেছে।